গ্রহ গুলো তাদের আবর্তণীয় নক্ষত্র থেকে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখছে, যে দূরত্বে সেখানে পানি বরফও হবে না, বাষ্পীভূত হয়ে উড়েও যাটবে না। আর পানি যেহেতু পৃথিবীতে প্রাণের আবাদের জমি হিসাবে কাজ করছে সুতরাং ঐ সকল গ্রহেও তা হতে বাধাঁ কোথায়।
সুতরাং পৃথিবীর প্রাণের অনুরূপ বিকাশ সেখানেও ঘটতে পারে। নাসার কর্মকর্তা চার্লস বল্ডেন বেলছেন, বর্তমান সময়ে মহাজগত, মহাজাগতিক প্রাণ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মূল উপজীব্য হয়ে উঠেছে।
কেপলারের পাঠানো তথ্য থেকে আকারে পৃথিবীসদৃশ গ্রহের সংখ্যা পাঁচ হলেও, পৃথিবী থেকে আকারে বড় প্রণানুকূল গ্রহ ছয়টি। সূর্য সদৃশ ঐ নক্ষত্রটি পৃথিবী থেকে ২০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্হিত।
আজ কাল আর বলার অবকাশ নেই, সবাই জানে সেকেন্ড ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল অতিক্রমকারী আলো ১ বছর ধরে চললে যত দূর যাবে তত দূরকে আলোকবর্ষ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। কেপলার কিন্তু সবকটি গ্রহকে তেমন পরিস্কার আকৃতিতে ঘুরপাক খেতে দেখতে পারছে না, টেলিভিশন চ্যানেল গুলোতে যেমন দেখা যায়।
যেহেতু মধ্যকার দূরত্ব অকল্পনীয়, ঐ দূরত্বে আলোর বেগ পৌঁছতেও যেখানে ২০০০ বছর লেগে যাবে তখন ওভাবে দেখা সম্ভব নয়। কেপলার শুধুমাত্র আভাস পেয়েছে। পর্যবেক্ষকরা দেখেছন, নক্ষত্রের আলোর উৎস ও পথ ক্ষণকালের জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এটা তখনই ঘটছে, যখন ঐ নক্ষত্রকে আবর্তনকারী গ্রহ, তার বার্ষিক কক্ষপথে পরিভ্রমন সরে নিচ্ছে। যে পাঁচটি গ্রহ আকারেও পৃথিবীর সমান, সেগুলোর আবর্তণীয় সূর্য সম্পর্কে এখনও মাএ এটুকু বলা যাচ্ছে।
ঐ সূর্যের চেয়ে আমাদেরটি বড়। আরো কিছু বলতে পারবে শিগগিরই এই টেলিস্কোপ। তবে তার জন্যে আরো কিছু সময়ের প্রয়োজন। ততক্ষণে আরো কিছু বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর গল্পকথা মগজে অমৃত ঢালতে থাকুক পাঠকের। ধন্যবাদ সবাইকে
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।